ডায়োড
ডায়োড একটি দুই প্রান্ত বিশিষ্ট ইকেট্রনিক্স ডিভাইস । তড়িৎ প্রবাহকে একটি নির্দিষ্ট দিকে ধাবিত করার জন্য মূলত এটি ব্যবহৃত হয়ে থাকে।এটি বিপরীত দিকের তড়িৎ প্রবাহকে বাধা প্রদান করে থাকে ।
সহজ কথায়, ডায়োড বিপরীত মুখী বিদ্যুৎ প্রবাহ কে একমুখী করে বা অন্যভাবে বললে এসি (AC) কে ডিসি (DC) করে রেক্টিফিকেশন প্রকৃয়ার মাধ্যমে।
ডায়োড মূলত দুই ধরনের পদার্থ দিয়ে তৈরী হয়ে থাকে । যথা : সিলিকন অথবা জার্মেনিয়াম । তবে সিলিকন টাইপ ডায়োড বেশি ব্যবহৃত হয়ে থাকে ।
গঠনঃ
ডায়োড দুই ধরনের অর্ধ-পরিবাহী পদার্থের সমন্বয়ে গঠিত ।
১) P-টাইপ অর্ধ-পরিবাহী
২) N-টাইপ অর্ধ-পরিবাহী
এই দুটি মিলেই তৈরী হয় P-N জাংশন । এই P-টাইপ এবং N-টাইপ অর্ধ-পরিবাহীর ভিতরে কিছুটা ফাকা স্থান রেখে দেওয়া হয় যাকে ডিপলেশন রিজিয়ন বা শূণ্য স্থান বলা হয় ।
P-টাইপ : P-টাইপ অর্ধ-পরিবাহীর ভিতরে প্রচুর পরিমানে হোল এবং খুব কম সংখ্যক মুক্ত ইলেকট্রন থাকে ।
N-টাইপ : N-টাইপ অর্ধ-পরিবাহীর ভিতরে প্রচুর পরিমানে মুক্ত ইলেকট্রন এবং খুব কম সংখ্যক হোল থাকে ।
বায়াসিং
ডায়োডের বায়াসিং এর আগে আমাদের বুঝতে হবে, আসলে বায়াসিং কি ? বায়াসিং হলো কোন একটি ডিভাইস বা পার্টস কে ব্যাটারী, তার ইত্যাদি প্রভৃতি উপকরণের মাধ্যামে সংযু্ক্ত করে বর্তনীটি সম্পূর্ণ করা ।
ডায়োডের ভিতর দিয়ে তড়িৎ প্রবাহিত হবে কি না তা নির্ভর করে এর বায়াসিং এর উপর । ডায়োডকে দুই ভাবে বায়াসিং করা যায় ।
১) Forward Bias (সম্মুখী ঝোঁক)
২) Reverse Bias (বিমুখী ঝোঁক)
পরবর্তি লেখাঃ ডায়োড টেস্ট করবেন কিভাবে
ভালো লাগলে শেয়ার করবেন বন্ধুরা।
ধন্যবাদ।
nice.............https://emakerbd.com/
ReplyDeleteস্যার,চার্জার তৈরির ক্ষেত্রে ১০০ ভোলট সাপ্লাই করা ডায়োড ব্যবহার করলে কি দ্রুত চার্জ হবে?
ReplyDeleteনাকি ১০০০ ভল্টা সাপ্লাই করা ডায়োড অধিক দ্রুত হবে??
Delete