ক্যাপাসিটর অর্থ ধারক । একে
অনেকটা রিচার্জেবল ব্যাটারির
সাথে তুলনা করা যায় । পার্থক্য শুধু
এটাই যে, এর চার্জ ধরে রাখার ক্ষমতা
অনেক কম । হতে পারে সেইটা এক
সেকেন্ডের হাজারভাগের অনেক কম
সময় । ক্যাপাসিটরের এই চার্জ ধরে
রাখার ধর্মকে ক্যাপাসিট্যান্স বলে ।
এর আর একটি অতিপরিচিত নাম হলো
কনডেনসার ।
এটি মূলত দুটি ইলেকট্রোড বা
কন্ডাকটরের মাঝে ডাই ইলেকট্রিক বা
ইনসুলেটর দিয়ে আলাদা করে বিশেষ
পদ্ধতিতে তৈরী করা হয় ।
ক্যাপাসিটরে ভোল্টেজ অ্যাপ্লাই
করা হলে ডাই-ইলেক্ট্রিকের মধ্যে
একটি ইলেক্ট্রিক ফিল্ড তৈরি হয়।
অর্থাৎ ডাইইলেক্ট্রিক পদার্থের দু
প্রান্তে ভোল্টেজ দেয়া হলে এর
ভিতরে ইলেক্ট্রন আর হোল আলাদা
হয়ে গিয়ে দু ভাগে ভাগ হয়ে যায় ।
ইলেক্ট্রন আর হোল আলাদা হয়ে
যাওয়ার ফলে ক্যাপাসিটর এর দু
প্রান্তে পজিটিভ আর নেগেটিভ চার্জ
জমা হয়। এভাবেই ক্যাপাসিটর শক্তি
সঞ্চয় করে রাখে । ক্যাপাসিটর এ
চার্জ জমা থাকা অবস্থায় যদি একে
বর্তনী থেকে বিচ্ছিন্ন করা হয় তবে
ক্যাপাসিটর ঐ চার্জ ধরে থাকবে,
যতক্ষন না সে চার্জ ছেড়ে দেবার
কোন পথ পায়।
ছোট একটি উদাহরণের মাধ্যমে
ক্যাপাসিটরের চার্জ হওয়া প্রক্রিয়াকে
ব্যাখ্যা করা যেতে পারে-------
মনে কর ক্যাপাসিটরটি হলো তোমার
বাসার পানির ট্যাঙ্ক । তুমি পানি
তোলার জন্য মটর ষ্টার্ট করলে (মানে
তুমি ক্যাপাসিটরটিতে ভোল্টেজ
প্রয়োগ করলে) । যখন পানির ট্যাঙ্কটি
পানি দ্বারা পূর্ণ হয়ে যাবে (মানে
তোমার ক্যাপাসিটরটি ফুল চার্জ হয়ে
গেল), তখন অতিরুক্ত পানি অন্য একটি
পাইপ দিয়ে বের হয়ে যাবে (মানে তখন
ভোল্টেজ বর্তনীর সংযোগ অনুসারে
সামনের দিকে অগ্রসর হবে) ।
তবে ক্যাপাসিটরকে মূহুর্তের মধ্যে
ফুল-চার্জড করা যায় না । তেমনি হঠাৎ
করে ডিসচার্জড ও করা যায় না ।
অর্থাৎ ক্যাপাসিটর ধীরে ধীরে
ডিসচার্জড হয় । …………
খেয়াল করে দেখ ক্যাপাসিটর
ডিসচার্জড হতে সময় নিচ্ছে ।
ক্যাপাসিটর চার্জ বা ডিসচার্জ এর সময় :
যদি ক্যাপাসিটর এর ভোল্টেজ = V0,
রোধ = R , ক্যাপাসিটর এর মান = C,
এবং সোর্স ভোল্টেজ = Vs, তাহলে
ক্যাপাসিটর চার্জ হবার হার হিসেব
করা যায় …………….
Vcap = (Vs-V0)*[1-exp(-t/RC)]
আর ডিসচার্জের হার হিসেব করা যায়
………………….
Vcap = V0*exp(-t/RC)]
একক : ক্যাপাসিটরের ক্ষমতাকে
ফ্যারাড এ প্রকাশ করা হয় । ফ্যারাড
যেহেতু অনেক বড় একটি একক, তাই
একে প্রয়োজনমত অনেক সময় মাইক্রো-
ফ্যারাড(uF), পিকো-ফ্যারাড(PF) এবং
ন্যানো-ফ্যারাড(nF) প্রকাশ করা হয়ে
থাকে ।
প্রকারভেদ : ক্যাপাসিটর বিভিন্ন রকম
হতে পারে ।
যেমন :
পোলারাইজড ক্যাপাসিটর : (কেবল মাত্র
পোলারাইজড ক্যাপাসিটরের
পজেটিভ এবং নেগেটিভ প্রান্ত
নির্দিষ্ট)
এখানে
ক্যাপাসিটরের এক পার্শ্ব Gray রং
ব্যবহার করা হয়েছে । ক্যাপাসিটরের
সেই প্রান্ত নেগেটিভ (-ve) এবং বাকি
অপর প্রান্তকে পজেটিভ (+ve) ।
সিরামিক ক্যাপাসিটর : (সিরামিক
ক্যাপাসিটরকে এসি (AC) ক্যাপাসিটর
ও বলা হয়ে থাকে ।)
পলিষ্টার ক্যাপাসিটর :
মাইলার ক্যাপাসিটর:
ক্যাপাসিটর কোড :
কিছু কিছু ক্যাপাসিটর আছে যাদের
গায়ে তিন সংখ্যা বিশিষ্ট বিশেষ
কোডের মাধ্যমে এর মানকে প্রকাশ
করা হয় । এগুলোকে ক্যাপাসিটর
কোডিং বলা হয় ।
এখানে প্রথম দুটি সংখ্যা হলো এর মান
। এবং পরবর্তী সংখ্যা হলো এর
multiplier (অর্থাৎ চতুর্থ সংখ্যা যা
থাকবে , প্রথম দুটি সংখ্যার পরে ঠিক
ততগুলা শূণ্য (0) হবে ।
যেমন :
উপরের ক্যাপাসিটর এর গায়ে লিখা
আছে 104J এর অর্থ হলো,
10 এর পরে চারটা শূণ্য = (10 0000)pF =
(100000 × 10 -6 ) uF = 0.1 uF
অনুরুপ ভাবে, 103J অর্থ হলো,
103J = 10 000 pF = (10000 × 10 -6 ) uF =
0.01 uF
বি.দ্র : এখানে তিনটি সংখ্যার পর যে
ইংরেজী বর্নমালার বিভিন্ন অক্ষর
রয়েছে (J) , তা দ্বারা ঐ
ক্যাপাসিটরের টলারেন্স কে বোঝায়
ভালো লাগলে লাইক, কমেন্ট, শেয়ার করবেন।
No comments:
Post a Comment