Engineering knowledge

Breaking

Friday 16 June 2017

মোটর শেষ পর্ব-৪। এই পর্বে যা যা থাকছে, সিনক্রোনাস মটর কি এবং এর বৈশিষ্ট্য, ডিসি মোটরের ইফিসিয়েন্সি, ডিসি মোটরের লস সমূহ।

সিনক্রোনাস মটর কি
সিনক্রোনাস মটর এমন একটি মটর যা নো লোড হতে ফুল লোড পর্যন্ত একটি নির্দিষ্ট গতিতে ঘুরে অর্থাৎ এই মোটর সব সময় সিনক্রোনাস গতিতে ঘুরে। সিনক্রোনাস গতি Ns= 120f/P এই মটর এর গতিবেগ লোড পরিবর্তনের সাথে সাথে পরিবর্তিত হয়না। তবে পোলের সংখ্যা বা সাপ্লাই ফ্রিকোয়েন্সি পরিবর্তন করে এর গতিবেগ বাড়ানো বা কমানো সম্ভব।

বৈশিষ্ট্য
১) ইহা নো লোড ও ফুল লোড অবস্তা যাই হোক সর্বদা একই গতিবেগে ঘুরে।
২) ইহাতে কোন স্লিপ নাই।
৩) অল্টারনেটর এবং সিনক্রোনাস মটরের গঠন একই বলে, সিনক্রোনাস মটরককে অল্টারনেটর হিসেবে পরিচালনা করা যায়।
৪) সিনক্রোনাস মটর নিজে নিজে চালু হতে পারেনা। চালু করতে বিশেষ পদ্ধতি প্রয়োজন।
৫) এই মটরকে যে কোন পাওয়ার ফেক্টরে চালানো যায়।
৬) ইহার স্টেটর ও রোটরের পোল সংখ্যা সমান।
৭) গতিবেগ নিয়ন্ত্রন করা যায়না।
৮) হটাৎ লোড বাড়লে হান্টিং এর উৎপত্তি হয়। , সিনক্রোনাস মটরে হান্টিং একটি বড় সমস্যা।

ডিসি মোটরের ইফিসিয়েন্সি
আমরা একটি কথা সবাই জানি যে যেকোন মেশিনের ই আলাদা আলাদা এফিসিয়েন্সি বা আউটপুট ক্ষমতা থাকে। অর্থাৎ, একটি মেশিনের ইনপুট অনুযায়ী আউটপুটে কি রকম শক্তি পাচ্ছে তার হিসাব। এপর্যন্ত পৃথিবীতে এমন কোন মেশিন আবিষ্কার হয় নি যা দিয়ে ১০০ ভাগ এফিসিয়েন্সি পাওয়া সম্ভব। মোটরও এর ভিন্ন কিছু নয়।

লসসমূহ
ডিসি মোটরের লস বা ক্ষতি সমূহ কে ৩ ভাগে ভাগ করা যায়। তা হলঃ
১। মোটরের কপার ক্ষতি
২। মোটরের লোহার ক্ষতি
৩। মোটরের মেকানিক্যাল ক্ষতি
তাছাড়াও আরও কিছু ক্ষতি বা লস আছে যেগুলো প্রায় সব মেশিনেই হয়ে থাকে যেমন শব্দ দূষন, ঘর্ষণ এর শক্তি, ব্যাক ভোল্টেজ

আশা করি সবাই  বুঝতে পেরেছেন মোটর সম্বন্ধে। এরপরেও কোন প্রশ্ন থাকলে অবশ্যই কমেন্টে জিজ্ঞাস করবেন বন্ধুরা।

আমাদের লিখা গুলো থেকে পাঠক যদি অল্প পরিমান হলেও শিখতে পারেন তাহলে আমাদের সার্থক।

সবাইকে শেয়ার করার জন্য অনুরোধ রাখছি। আমরা চাই সব ইঞ্জিনিয়ার ভাইয়েরা এই সকল বেসিক বিষয়ে খুব ভালো ধারনা রাখবে।
ধন্যবাদ।

1 comment: