Engineering knowledge

Breaking

Friday 16 June 2017

উপ-সহকারী জব প্রিপারেশন (ইলেক), ট্রান্সফরমারের জব সম্পর্কিত প্রশ্ন ট্রান্সফরমার-পর্ব-১

প্রশ্ন–১. ট্রান্সফরমারের ট্রান্সফরমেশন
রেশিও দ্বারা কি বুঝা যায়?
উত্তরঃ ট্রান্সফরমারের প্রাইমারীর তুলনায়
সেকেন্ডারিতে ভোল্টেজ কতটুকু কমবে বা
বাড়বে তা বুঝা যায়।

প্রশ্ন–২. ট্রান্সফরমারের এডি কারেন্ট লস
কাকে বলে? এডি কারেন্ট লস কিসের উপর
নির্ভরশীল? এডি কারেন্ট লস এর প্রভাবে
কি হয়? এডি কারেন্ট লস কমাবার উপায়
কি?

এডি কারেন্ট কোরের ভিতর দিয়ে প্রবাহিত
হওয়ার সময় কোর রেজিস্ট্যান্স
বাধাগ্রস্ত হয়ে যে অপচয় হয়, তাকেই এডি
কারেন্ট লস বলে।
এডি কারেন্ট লস কোর রেজিস্ট্যান্স এর
নির্ভরশীল।
এডি কারেন্ট লসের কারনে শক্তির অপচয় হয়
এবং কোর উত্তপ্ত হয়।
উচ্চ রেজিস্টিভিটির চৌম্বক পদার্থের কোর
ব্যবহার করে এডি কারেন্ট লস কমানো যায়।

প্রশ্ন–৩. ট্রান্সফরমারের কোর লস ও কপার
লস কি?
উত্তরঃ প্রাইমারিতে আরোপিত ভোল্টেজের
উপর কোর লস নির্ভরশীল। এডি কারেন্ট লস ও
হিসটেরেসিস লস এর সমষ্টিকে কোর লস
বলে।
ট্রান্সফরমারের প্রাইমারি ও সেকেন্ডারি
ওয়াইন্ডিং এর ওহমিক রেজিস্ট্যান্স এর
কারনে যে লস হয় তাকে কপার লস বলে।
ট্রান্সফরমারের কপার লস লোডের উপর
নির্ভরশীল। ট্রান্সফরমারের কপার লস
কারেন্টের বর্গের সমানুপাতিক।

প্রশ্ন–৪. ট্রান্সফরমারের হিসটেরেসিস লস
কি? এর প্রভাব কি? কমানোর উপায় কি?
উত্তরঃ অল্টারনেটিং কারেন্ট পর্যায়ক্রমে
পরিবর্তিত হওয়ার কারণে চুম্বক ক্ষেত্রের
মেরুর দিক পরিবর্তন হয়ে থাকে। এ
পর্যায়ক্রমিক চুম্বকীকরন ও
বিচুম্বকীকরেনের ফলে কোরে অনুচুম্বক গুলো
স্ব-স্ব স্থানে সংঘর্ষের কারনে পাওয়ার লস
হয়, এই লসকেই হিসটেরেসিস লস বলে।
হিসটেরেসিস লস যত বেশি হবে তাপ উৎপন্ন
তত বেশি হবে। যার ফলে পাওয়ার লস বৃদ্ধি
পাবে এবং ইন্সুলেশন ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
হিসটেরেসিস লস কমানোর জন্য উচ্চ গুণসম্পন্ন
ম্যাগনেটিক শিটের কোর ব্যবহার করতে
হবে। যেমনঃ সিলিকন স্টিল।

প্রশ্ন–৫. ট্রান্সফরমারের নো–লোড
অপারেশন ও নো–লোড কারেন্ট কাকে
বলে?
উত্তরঃ লোডবিহীন অবস্থায় ট্রান্সফরমারের
যে কার্যক্রম চালানো হয় তাকে
ট্রান্সফরমারের নো-লোড অপারেশন বলে।
ট্রান্সফরমারের নো-লোড অবস্থায়
প্রাইমারি ওয়াইন্ডিং-এ যে সামান্য
পরিমান কারেন্ট প্রবাহিত হয়, তাকে
ট্রান্সফরমারের নো-লোড কারেন্ট বলে।

প্রশ্ন–৬. লোডবিহীন অবস্থায় ট্রান্সফরমার
পাওয়ার গ্রহন করে? কেন?
উত্তরঃ লোডবিহীন অবস্থায় ট্রান্সফরমার
পাওয়ার গ্রহন করে। কোর লস মিটানোর জন্য
লোডবিহীন অবস্থাতেও ট্রান্সফরমার
পাওয়ার গ্রহন করে।

প্রশ্ন–৭. ট্রান্সফরমারের নো–লোড
কারেন্ট–এর কাজ কি? এর
কম্পোনেন্টগুলো কি কি?
উত্তরঃ ট্রান্সফরমারের নো-লোড কারেন্ট
সাপ্লাই ভোল্টেজের ৯০ পিছনে থেকে
কোরে মিউচুয়াল ফ্লাক্সকে প্রতিষ্ঠিত
করে।
ট্রান্সফরমারের নো-লোড কারেন্ট এর
কম্পোনেন্ট দুটি, যথাঃ ১) ম্যাগনেটাইজিং
কারেন্ট ২) ওয়ার্কিং কারেন্ট।

প্রশ্ন–৮. ট্রান্সফরমারের ওপেন সার্কিট
টেস্ট কাকে বলে? কেন করা হয়?
উত্তরঃ ট্রান্সফরমারের এক দিক (সাধারণত
হাই সাইড) খোলা রেখে অন্যদিকে
প্রয়োজনীয় পরিমাপক যন্ত্রপাতি সংযুক্ত
করে ট্রান্সফরমারের রেটেড ভোল্টেজ ও
ফ্রিকুয়েন্সি প্রয়োগ করে যে টেস্ট করা হয়
তাকে ট্রান্সফরমারের ওপেন সার্কিট টেস্ট
বলে।

ট্রান্সফরমারের ওপেন সার্কিট টেস্ট থেকে
নিন্মলিখিত তথ্যগুলো পাওয়া যায়-
১) কোর লস ২) নো-লোড কারেন্ট ৩) কোর লস
রেজিস্ট্যান্স ৪) কোর লস রিয়াক্ট্যান্স ৫)
নো-লোড পাওয়ার ফ্যাক্টর ৬) ট্রান্সফরমেশন
রেশিও।

প্রশ্ন–৯. ট্রান্সফরমারের শর্ট সার্কিট
টেস্ট কাকে বলে? কেন করা হয়?
উত্তরঃ ট্রান্সফরমারের এক দিক (সাধারণত
লো সাইড) শর্ট রেখে অন্যদিকে প্রয়োজনীয়
পরিমাপক যন্ত্রপাতি সংযুক্ত করে
ট্রান্সফরমারের রেটেড কারেন্ট প্রয়োগ
করে যে টেস্ট করা হয় তাকে
ট্রান্সফরমারের শর্ট সার্কিট টেস্ট বলে।
ট্রান্সফরমারের শর্ট সার্কিট টেস্ট থেকে
নিন্মলিখিত তথ্যগুলো পাওয়া যায়-
১) কপার লস ২) সমতুল্য রেজিস্ট্যান্স,
রিয়াক্ট্যান্স, ইম্পিড্যান্স ৩) ইফিসিয়েন্সি
৪) ভোল্টেজ রেগুলেশন।
ট্রান্সফরমারে শর্ট অবস্থায় তাড়াতাড়ি গরম
হয়ে যায় যা ইন্সুলেশন এর জন্য খুব ক্ষতিকর,
এজন্য ট্রান্সফরমারের শর্ট সার্কিট টেস্ট
বেশিক্ষন ধরে করা উচিত নয়।

প্রশ্ন–১০. ট্রান্সফরমারের সমতুল্য সার্কিট
কি?
উত্তরঃ ট্রান্সফরমারের যাবতীয় পরীক্ষা-
নিরিক্ষা ও বিভিন্ন গাণিতিক হিসাব
সহজভাবে করার জন্য যে সার্কিট করা হয়
তাকে ট্রান্সফরমারের সমতুল্য সার্কিট বলে।

ট্রান্সফরমারের জব প্রিপারেশনে আরো লেখা আসবে............আপনাদের এক্টিভিটি ভালো চাই।  :)

বেশি বেশি  শেয়ার চাই বন্ধুরা।

No comments:

Post a Comment