Engineering knowledge

Breaking

Friday 16 June 2017

ট্রানজিস্টর কি, কিভাবে কাজ করে বিস্তারিত সহজ ভাষায় জেনে নিন।

ট্রানজিস্টরঃ
ট্রানজিস্টর একটি তিন টার্মিনাল, তিন লেয়ার এবং দুই জাংশন বিশিষ্ট সেমিকন্ডাক্টর ডিভাইস যা ইনপুট সিগনালের শক্তি বৃদ্ধি করে বিভিন্ন কাজ সমাধান করে।

দুইটি পি-টাইপ সেমিকন্ডাক্টরের মাঝে একটি এন-টাইপ সেমিকন্ডাক্টর বা দুইটি এন-টাইপ সেমিকন্ডাক্টরের মাঝে একটি পি-টাইপ সেমিকন্ডাক্টর স্থাপন করে ট্রানজিস্টর তৈরি করা হয়।

দুই শ্রেনীর অর্ধপরিবাহী (N-টাইপ ও P-টাইপ) দিয়ে ট্রানজিস্টর তৈরি করা হয়।

এতে একটি P-টাইপ সাবস্টাক্টের উভয় পার্শ্বে একটি করে N-টাইপ স্থাপন করে N-P-N বা N-টাইপ সাবস্ট্র্যাট উভয় দিকে একটি করে P-টাইপ স্থাপন করে P-N-P জংশন তৈরি করা হয়।

গঠন অনুসারে ট্রানজিস্টর দুই প্রকারঃ
১. পি.এন.পি. ট্রানজিস্টর (PNP Transistor)
২. এন.পি.এন. ট্রানজিস্টর (NPN Transistor)

কিভাবে কাজ করেঃ

ট্রানজিস্টর ইলেকট্রনিক সার্কিট বা বর্তনীতে বিবর্ধক(amplifier) ও সুইচ হিসেবে ব্যবহহৃত হয়।

ট্রানজিস্টর বানানোর পদ্ধতিকে বলা হয় 'ফেব্রিকেশন' (Fabrication)
এখানে শুধু NPN ট্রানজিস্টর নিয়ে আলোচনা করব। NPN ট্রানজিস্টরের ৩টি টার্মিনাল থাকে –
১. কালেক্টর (Collector)
২. বেস (Base) এবং
৩. ইমিটার (Emitter)
Base এর মধ্য দিয়ে পাঠানো কারেন্ট Emitter দিয়ে নির্গত হয়। ট্রানজিস্টর তখন Collector থেকে Emitter এর দিকে কারেন্ট টানতে থাকে। অর্থাৎ কালেক্টর থেকে ইমিটারের মধ্য দিয়ে কারেন্ট প্রবাহিত হয়। বেস-ইমিটার কারেন্ট(Ib) আসলে কালেক্টর-ইমিটার কারেন্টকে (Ic) নিয়ন্ত্রণ করে।
অনেকটা পানির কল ছাড়ার মত- ট্যাপ না ঘুরালে যেমন পানি বের হয়না, তেমনি বেসের মধ্য দিয়ে কারেন্ট না পাঠালে কালেক্টর থেকে এমিটারের দিকে কারেন্ট প্রবাহিত হয় না।

কিন্তু মজার ব্যাপার হল এই কালেক্টর-ইমিটার কারেন্ট, বেস-ইমিটার কারেন্টের চাইতে অনেক বেশি।

ট্রানজিস্টরের মডেলভেদে কালেক্টর-ইমিটার কারেন্ট(IC), বেস-ইমিটার কারেন্টের(IB) চাইতে ৫০-৪০০গুণ বড় হতে পারে। এর মানে হচ্ছে আপনি Base-এ মাইক্রো- অ্যাম্পিয়ার কারেন্ট দিয়ে কালেক্টর থেকে মিলি-অ্যাম্পিয়ার কারেন্ট পেতে পারেন।

পাওয়ার ট্রানজিস্টর গুলোর বেলায় কালেক্টর কারেন্ট অ্যাম্পিয়ার রেঞ্জেও হতে পারে।
এখানে অবশ্য ভোল্টেজের একটা ব্যাপার আছে , Base-Emitter সংযোগ আসলে একটা ডায়োডের মত কাজ করে। Base-Emitter-এর ভোল্টেজের পার্থক্য যখন +০.৭ভোল্ট হয় কেবল তখনই ট্রানজিস্টর চালু হয় অর্থাৎ বেস-ইমিটার এবং কালেক্টর-ইমিটার বিদ্যুৎ প্রবাহ শুরু হয়। এটাকে বলা হয় Threshold Voltage বা Turn on voltage.

ভালো লাগলে শেয়ার করবেন বন্ধুরা, প্রশ্ন থাকলে কমেন্ট করুন। ধন্যবাদ।

No comments:

Post a Comment