Engineering knowledge

Breaking

Friday 16 June 2017

একদম প্রাথমিক লেভেলের কিছু সংজ্ঞা। আমরা অনেকেই কম-বেশি পরিচিত। তারপরেও আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে।

১। বিদ্যুৎ কি?
=> বিদ্যুৎ এমন এক অদৃশ্য শক্তি যা আলো, শব্দ, গতি, রূপান্তরিত শক্তি ইত্যাদি উৎপন্ন করে বিভিন্ন বাস্তব কাজ সমাধা করে।
২। কারেন্ট কি?
=> পদার্থের মধ্যকার যুক্ত ইলেকষ্ট্রন সমূহ নিদিষ্ট দিকে প্রবাহিত হওয়ার হারকে কারেন্ট বলে। কারেন্টের প্রতীক-I
একক Ampere (A)
পরিমাপের যন্ত্র Ampere meter
৩। বিদ্যুতের প্রকারভেদঃ
=> বিদ্যুৎ দুই প্রকারঃ ১। স্থির বিদ্যুৎ
২। চল বিদ্যুৎ
৪। ভোল্টেজ কি /ভোল্ট কি?
=> পরিবাহির পরমানুগুলোর ইলেষ্ট্রনসমূহকে স্থানচ্যুত করতে যে বল বা চাপের প্রয়োজন তাকে বিদ্যুৎ চালক বল বা ভোল্টেজ বলে।
ভোল্টজ এর প্রতীক v
একক volt.
পরিমাপের যন্ত্র volt meter.
৫। কারেন্টের প্রকার ভেদঃ
কারেন্ট দুই প্রকারঃ ১। Ac কারেন্ট (Alternative current)
২। Dc কারেন্ট (Direct current)
৬। অ্যাম্পিয়ার কাকে বলে?
কোন পরিবাহীর যে কোন অংশের মধ্য দিয়ে এক কুলাম্ব চার্জ এক সেটেন্ড সময় ধরে প্রবাহিত হলে উক্ত পরিমান চার্জকে এক অ্যাম্পিয়ার বলে।
১ কুলাম্ব=৬২৮x10পাওয়ার16 ইলেকট্রনেক চার্জ।
৭। রেজিস্ট্যান্স কি?
পরিবাহীর মধ্য দিয়ে কারেন্ট প্রবাহের সময় পরিবাহী পদার্থের যে ধর্ম বা বৈশিষ্ট্যের কারণে তা বাধাগ্রস্থ হয় তাকে রেজিস্ট্যান্স বলে।
রেজিস্ট্যান্স এর প্রতীক R (r)
একক Ohm (r)
৮। Conductor বা পরিবাহীঃ
যেসব পদার্থের মধ্য দিয়ে কারেন্ট চলাচল করতে পারে তাদের Conductor বলে।
যেমনঃ সোনা, রূপা, তামা, লোহা, অ্যালুমিনিয়াম।
৯। Insulator বা অপরিবাহীঃ
যে সকল পদার্থের মধ্য দিয়ে সরাসরি কারেন্ট চলাচল করতে পারে না তাদের Insulator বলে । যেমনঃ প্লাষ্টিক, রাবার ইত্যাদি।
১০। Semi –Conductor বা অর্ধপরিবাহিঃ
যে সকল পদার্থের মধ্য মাঝামাঝি বিদ্যুৎ চলাচল করে অর্থাৎ অবস্থা ভেদে কখনো বিদ্যুৎ চলাচল করে আবার চলাচল করেনা তাদের Semi –Conductor বলে।
যেমনঃ জার্মেনিয়াম, সিলিকন ইত্যাদি।
১১। ভোল্টেজ কি ভাবে পাওয়া যায়?
পরিবাহীর রেজিস্ট্যান্স ও এর মধ্য দিয়ে প্রবাহিত কারেন্ট এর গুণফল হল ভোল্টেজ।
অর্থাৎ v = IR
১২। ক্যাপাসিট্যান্স কি?
ক্যাপাসিটরের প্লেটগুলোর মধ্যে **পার্থক্য থাকলে প্লেটগুলো বৈদ্যুতিক শক্তি সঞ্চয় করে রাখে। ক্যাপাসিটরের এই ধর্ম বা বৈশিষ্টকে ক্যাপাসিট্যান্স (Capacitance) বলে
ক্যাপাসিট্যান্স এর প্রতীক c
পরিমাপের যন্ত্র Ohm মিটার বা ক্যাপাসিটর পরিমাপক।
১৩। ইনডাকট্যান্স (Inductance) ?
এটি কয়েলের এমন একটি বিশেষ ধর্ম যা কয়েলে প্রবাহিত কারেন্টে এর হ্রাস/বৃদ্ধিতে বাধা প্রদান করে।
এর প্রতীক L
একক Henry
১৪। নেটওয়ার্ক কি?
বৈদ্যুতিক নেটওয়ার্ক বলতে একাধিক সরল সার্কিট উপাদান পরস্পর যুক্ত হয়ে যে সার্কিট হয় তাকে বৈদ্যুতিক নেটওয়ার্ক বলে।
ওয়েব নেটওয়ার্ক বলতে একাধিক যন্ত্রাংশের সমন্বয়ে এমন একটি যোগাযোগ ব্যবস্থাকে বুঝায় যেখানে অদৃশ্য ওয়েব বা তরঙ্গোর মাধ্যমে যন্ত্রাংশ সমূহের মধ্যে যোগাযোগ হয়ে থাকে।
১৫। power কি?
বৈদ্যুতিক শক্তি ব্যবহারের হারকে বৈদ্যুতিক ক্ষমতা বা পাওয়ার বলে। সার্কিটের ভোল্টেজ ও
এম্পিয়ার এর গুণফল হিসাবে পাওয়ার পাওয়া যায়।
অর্থাৎ P=VI এর একক watt বা kilowatt
১৬। Energy কী?
বৈদ্যুতিক ক্ষমতা বা Power কোন সার্কিটে যত সময় কাজ করে পাওয়ারের সাথে উক্ত সময়ের গুণফলকে বৈদ্যুতিক শক্তি বা Energy বলে।
অর্থাৎ Energy, W=P×T P = Power
একক Watt-hour বা Kilowatt-hour. T = Time
১৭। বৈদ্যুতিক সার্কিট কি?
বিদ্যুতের উৎস, পরিবাহী, নিয়ন্ত্রন যন্ত্র, ব্যবহারযন্ত্র, রক্ষণযন্ত্র সমন্বয়ে এমন একটি পথ যার মধ্য দিয়ে কারেন্ট প্রবাহিত হতে পারে তাকে সার্কিট বা বর্তনী বলে।
বৈদ্যুতিক সার্কিটে উক্ত পাঁচটি প্রয়োজনীয় উপাদান আবশ্যক।
যথাঃ ১। উৎস (Source) যেমনঃ ব্যাটারী বা জেনারেটর।
২। পরিবাহী (Conductor) যেমনঃ তামা বা এলুমিনিয়াম তার।
৩। নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র (Controlling device) যেমন সুইচ।
৪। ব্যবহার যন্ত্র (Consuming device) যেমনঃ বাতি, পাখা।
৫। রক্ষন যন্ত্র (Productive device) যেমনঃ ফিউজ, ব্লেকার।
১৮। সার্কিট কত প্রকার ও কি কি?
সার্কিট সাধারণত দুই প্রকারঃ I) সিরিজ সার্কিট (Series Ckt)
II) প্যারালাল সার্কিট (Parallel Ckt)
এছাড়াও III) মিশ্র সার্কিট (Mixed Ckt)
১৯। সার্কিট ডায়াগ্রাম কি?
সার্কিট ডায়াগ্রাম হল সার্কিটের বিভিন্ন উপকরনের চিহ্ন সম্বলিত এমন একটি চিত্র রূপ যা দেখে এর উপকরণ গুলো কিভাবে পরস্পর যুক্ত রয়েছে তা বুঝা যায় এবং এদের মান সংক্ষেপে ডায়াগ্রামে উল্লেক থাকে।
২০। সিরিজ সার্কিট কি ? এর বৈশিষ্টঃ
দুই বা ততোধিক রেজিস্টর বা লোড একের পর এক যদি এমন ভাবে যুক্ত করা হয় যাতে কারেন্ট প্রবাহের একটি মাত্র পথ থাকে, তবে তাকে সিরিজ সার্কিট বলে।
বৈশিষ্টঃ
১। সিরিজ সার্কিটে যুক্ত সব লোড বা রেজিস্টর এর মধ্য দিয়ে একই পরিমান কারেন্ট প্রবাহিত হয়। অর্থাৎ I= 11+12+13
২। সিরিজ সার্কিটে যুক্ত প্রতিটি রেজিস্টার বা লোডের ভোল্টেজ ড্রপসমূহের যোগফল সার্কিটে প্রয়োগকৃত ভোল্টেজের সময় অর্থৎ V=V1+V2+V3--------
৩। সিরিজ সার্কিটে যুক্ত রেজিস্টার বা লোড সমূহের রেজিস্ট্যান্সগুলোর যোগফল মোট রেজিস্ট্যান্স (সার্কিটের) সমান অর্থাৎ R=R1+R2+R3--------
২১। প্যারালাল সার্কিট কি ? এর বৈশিষ্টঃ
একাধিক রেজিস্টর বা লোড প্রতিটিকে বৈদ্যুতিক উৎসের আড়াআড়িতে এমনভাবে সংযুক্ত করা হয় যাতে কারেন্ট প্রবাহের একাধিক পথ বিদ্যমান থাকে তবে তাকে প্যারালাল সার্কিট বলে।
বৈশিষ্টঃ
১। প্যারালাল সার্কিটে যুক্ত প্রতিটি লোড বা রেজিস্টর এর আড়াআড়িতে ভোল্টেজ ড্রপ সার্কিটে প্রয়োগকৃত ভোল্টেজ এর সমান। অর্থাৎ R=R1+R2+R3--------
২। প্যারালাল সার্কিটে সংযুক্ত প্রতিটি রেজিস্টর এর মান উল্টিয়ে যোগ করলে যোগফল সমতুল্য (সার্কিটের) রেজিস্ট্যান্সের উল্টানোমানের সমান।

ভালো লাগলে শেয়ার করবেন অবশ্যই। আর কোন প্রশ্ন থাকলে কমেন্ট করবেন ধন্যবাদ।

No comments:

Post a Comment