সহজ ভাষায় জেনারেটর
জেনারেটর ও মোটর দুটি খুবই কমন মেশিন যা আমরা কমবেশি সবাই চিনি। ধরুন একটি জেনারেটর চালু করলে সেখান থেকে বিদ্যুৎ উৎপন্ন হচ্ছে, তাহলে এটাকে আমরা বলব জেনারেটর। এখন প্রশ্ন হচ্ছে জেনারেটর এর অর্থ টা আসলে কি। জেনারেটর একটি ইংরেজি শব্দ। যার অর্থ- কোন কিছু উৎপন্ন করা বা জেনারেট করা। কিন্তু কি উৎপন্ন করা? পাওয়ার/শক্তি উৎপন্ন করা। অর্থাৎ আমরা যদি কোন জেনারেটর চালুকরি তাহলে সেটি থেকে নির্দিষ্ট পরিমানের ইলেকট্রিক্যাল এনার্জি উৎপন্ন হবে। তাই যেহেতু এখানে মেকানিক্যাল পাওয়ারকে ইলেকট্রিক্যাল পাওয়ারে রূপান্তর করা হচ্ছে সেহেতু এটিকে আমরা জেনারেটর বলছি। এবং উপরোক্ত সংজ্ঞানুযায়ী এটি একটি মেশিন ও বটে।
জেনারেটর দুই প্রকার। যথা- ১। এসি জেনারেটর ২। ডি.সি জেনারেটর । এসি জেনারেটর অধিক প্রচলিত এসি জেনারেটর এর গঠন ও কার্যপ্রণালী সম্পর্কে নিম্নে আলোচনা করা হলো :
গঠন: এতে একটি ক্ষেত্রচুম্বক থাকে। চুম্বকের মধ্যবর্তী স্থানে একটি কাচা লোহার পাতের উপর একটি তারের আয়তকারে কুণ্ডলী থাকে। কাচা লোহার পাতটিকে আর্মেচার বলে। আর্মেচারটিকে চুম্বকের দুই মেরুর মধ্যবর্তী স্থানে যান্ত্রিক উপায়ে সম দ্রুতিতে ঘুরানো হয়। আয়তকার কুণ্ডলীর দুই প্রান্ত দুইটি স্প্রিং এর সাথে সংযুক্ত থাকে। স্প্রিং দুইটি আর্মেচারের একই অক্ষ বরাবর ঘুরতে পারে। দুইটি কার্বন নির্মিত ব্রাশ এমনভাবে স্থাপন করা হয় যেন তারা যখন আর্মেচার ঘুরতে থাকে তখন স্প্রিং দুইটিকে স্পর্শ করে থাকে। ব্রাস দুইটির সাথে বহিবর্তনীর জ রোধ সংযুক্ত থাকে।
ডিসি জেনারেটর এর বিভিন্ন অংশ:
১) ইয়ক বা ফ্রেম
২) পোল কোর এবং পোল সু
৩) ফিল্ড কয়েল
৪) আর্মেচার কোর
৫) আর্মেচার ওয়াইন্ডিং
৬) কম্যুটেটর
৭) ব্রাশ এবং বিয়ারিং।
ডিসি জেনারেটর প্রধানত দুই প্রকার
১) সেল্ফ এক্সাইটেড (Self exited) জেনারেটর ।
২) সেপারেটলি এক্সাইটেড (Separately exited) জেনারেটর।
সেল্ফ এক্সাইটেড জেনারেটর তিন ভাগে ভাগ করা হয়
১) শান্ট (shunt) জেনারেটর,
২) সিরিজ ( series) জেনারেটর,
৩) কম্পাউন্ড (compound) জেনারেটর
কম্পাউন্ড (compound) জেনারেটরকে আবার দুইভাগে ভাগ করা যায়।
১) শর্ট শান্ট কম্পাউন্ড জেনারেটর
২) লং শান্ট কম্পাউন্ড জেনারেটর।
কার্যপ্রণালী : যখন আর্মেচারটিকে ঘুরানো হয় তখন আর্মেচার কুণ্ডলী চৌম্বকক্ষেত্রের বলরেখাগুলোকে ছেদ করে এবং তাড়িতচৌম্বক আবেশের নিয়মানুযায়ী কুণ্ডলীতে তড়িৎ চালক শক্তি আবিষ্ট হয়। এখন কুণ্ডলীটির দুই প্রান্ত বহিবর্তনীর সাথে সংযুক্ত থাকায় বর্তনীতে পর্যাবৃত্ত তড়িৎপ্রবাহের উৎপত্তি হয়। আবিস্ট তড়িৎপ্রবাহের মান প্রধানত চৌম্বকক্ষেত্রের প্রাবল্য ও ঘূর্ণন বেগের উপর নির্ভর করে। কুণ্ডলীর একবার ঘূর্ণনের মধ্যে আবিস্ট তড়িৎপ্রবাহের অভিমুখও একবার পরিবর্তিত হয়। এভাবে যান্ত্রিক শক্তি থেকে পরিবর্তী প্রবাহ উৎপন্ন হয়।
আমাদের লেখাগুলো ভালো লাগলে তা শেয়ার করে আপনাদের বন্ধুদের দেখার সুযোক করে দিন।
ধন্যবাদ।
পারফেক্ট
ReplyDelete