হে, আপনি যদি ইলেকট্রিকালের ছাত্র/ছাত্রী হয়ে থাকেন তাহলে
চাকরির ইন্টারভিওয়ে এরকম প্রশ্ন থাকতেই পারে।
তাহলে চলুন জেনে নেয়া যাক অটো ট্রান্সফরমারের কিছু বেসিক বিষয়।
অটো ট্রান্সফরমার এমন এক ব্যাতিক্রমি ট্রান্সফরমার যার মধ্যে শুধু একটি ওয়াইন্ডিং থাকে। ইহার কিছু অংশ প্রাইমারি আর কিছু অংশ সেকেন্ডারি কয়েল হিসাবে ব্যবহার করা হয়। দুটি কয়েলই ফিজিক্যালি, ইলেকট্রিক্যালি ও ম্যাগনেটিক্যালি সংযুক্ত থাকে।তারপরও একে ট্রান্সফরমার বলা হয়, কারন ইহার কার্যপ্রণালী সাধারণ ট্রান্সফরমারের মতই এবং এই ট্রান্সফরমারও স্টেপ আপ এবং স্টেপ ডাউন হতে পারে। এই পোস্ট আমরা একটি স্টেপডাউন ট্রান্সফরমারের ছবি ব্যবহার করেছি।
এই ধরনের ট্রান্সফরমারের কিছু সুবিধা আছে,
যেমনঃ
১। যেহেতু মাত্র একটি ওয়াইন্ডিং থাকে তাই এটার খরচ অনেক কম।
২। এই ধরনের ট্রান্সফরমার ভোল্টেজ রেগুলেশনে বেশি ব্যাবহার করা হয়।
৩। সাধারন ট্রানফরমারের তুলনায় সমান রেটিংয়ের জন্য এই ধরনের ট্রান্সফরমারে লস খুব কম হয়।
এত সুবিধার মাঝেও কিছু অসুবিধা আছে, যেগুলো অবশ্যই মাথায় রেখে এই ধরনের ট্রান্সফরমার ব্যাবহার করতে হবে।
অসুবিধাগুলো হলঃ
১। যেহেতু প্রাইমারি ওয়াইন্ডিং এবং সেকেন্ডারি ওয়াইন্ডিং একই সাথে সংযুক্ত থাকে তাই এটাতে কিছু ঝুঁকি থাকে, যেমন যদি হাই ভোল্টেজ থেকে লো ভোল্টেজে রূপান্তর করার জন্য এই ট্রান্সফরমার ব্যাবহার করা হয় এবং ওয়াইন্ডিংয়ে কোন সমস্যা হয় তখন প্রাইমারির হাই ভোল্টেজ সেকেন্ডারিতে চলে যেতে পারে যা মারাত্মক বিবদ ডেকে আনতে পারে।
২। এটা খুবই জায়গায় ব্যাবহার করা হয় যেখানে খুব কম মানের ভোল্টেজ ভেরিয়াশন থাকে।
পোস্ট-টি যদি ভাল লেগে থাকে শেয়ার করতে অবশ্যই ভুলবেননা। ধন্যবাদ সবাইকে।
No comments:
Post a Comment