Engineering knowledge

Breaking

Friday 16 June 2017

ইলেকট্রিক্যাল পাওয়ার ট্রান্সমিশন ও ডিস্ট্রিবিউশন সিস্টেম পর্ব-২(শেষ পর্ব)


ডিস্ট্রিবিউশনঃ

এবার আসা যাক এই ট্রান্সমিশন লাইন থেকে আমরা অর্থাৎ সাধারন ভোক্তা কিভাবে বিদ্যুৎ পায়। এর জন্য বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান কাজ করে থাকে । যেমনঃ
ডেসকো (DESCO – Dhaka Electric Supply Company Limited ): এরা শুধু মাত্র ঢাকা জোন কে কভার করে। ঢাকার বাইরে এরা কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে লাইন দিতে পারে না। পুরো ঢাকা এই কোম্পানিটিই পাওয়ার সাপ্লাই দেয়।
বিপিডিবি, আর ই বি (BPDB, REB ): এদের কাজ পুরো বাংলাদেশ কভার করা। একেকটি কোম্পানি তাদের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র সাব জোনে তাদের অঞ্চল গুলোকে ভাগ করে নেয়। এতে তাদের কাজ আরও সহজ হয়ে উঠে।
.
ট্রান্সমিশন_লাইনঃ
.
ট্রান্সমিশন লাইন প্রধানত ২ ধরনের হয়ে থাকে ।
১। ওভার হেড
২। আন্ডারগ্রাউন্ড
.
ওভার হেড ট্রান্সমিশন লাইনঃ
আমরা অনেক সময় গ্রামের বাড়িতে গেলে অথবা ভ্রমনের সময় দূরে তাকালে দেখতে পাই যে অনেক বড় বড় টাওয়ার মাঠের মধ্যে দিয়ে অবস্থিত। এবং তার সাথে অনেক মোটা মোটা তার লাগানো। মূলত এগুলো কে ওভার হেড ট্রান্সমিশন লাইন বলে। অর্থাৎ মাথার উপর দিয়ে এগুলোর লাইন চলে যায়। এই প্রক্রিয়ার বেশ কিছু সমস্যা আবার উপকারি দিক উভয়ই আছে। যেমন-
.
অসুবিধাঃ
এগুলো অনেক জায়গা নিয়ে বিস্তৃত হয়ে থাকে যদি কোন ইন্সট্রুমেন্ট নষ্ট বা ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে থাকে তাহলে এগুলো সাড়াতে অনেক খরচ হয়।
.
সুবিধাঃ
কিন্তু এগুলোর সুবিধাও কম নয়, যেমনঃ
এগুলো এভারেজ রেট ৬৬ কিলোভোল্টের উপরে বিদ্যুৎ পাস করানো সম্ভব এবং নিরাপদ। যদি কোথাও লাইন ফল্ট দেখা যায় তবে তা নির্ণয় করা সহজ।
তাছাড়া এগুলো বানাতে বা স্থাপন করতেও অনেক কম খরচ হয় তূলণামূলক ভাবে।
.
আন্ডারগ্রাউন্ড ট্রান্সমিশন লাইনঃ
.
এই ধরনের ট্রান্সমিশন লাইন বলতে বুঝায় যেসব লাইন মাটির নিচ দিয়ে পাস করানো হয় । তবে মাটির নিচ দিয়ে পাস করানো লাইন খুবই বিপজ্জনক হতে পারে । তাই বাংলাদেশে আপাতত ওভারহেডকেই বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। এধরনের আন্ডারগ্রাউন্ড ট্রান্সমিশন লাইনের কিছু সুবিধা ও অসুবিধা হল-
.
অসুবিধাঃ
এগুলো বানাতে বা কোন জায়গা দিয়ে স্থাপন করতে অনেক খরচ হয়। অর্থাৎ এগুল খুব ই ব্যয় বহুল।
তাছাড়া এই প্রক্রিয়ায় যে তার ব্যবহার করা হয় সেগুল আর ১০ টি তারের মত এত সিম্পল ও না। বেশ কয়েকটি কোটিং করা থাকে এ ধরনের গায়ে। তবে এটি অনেক কম জায়গা খরচ করেই পাস হয়ে যেতে পারে।
এর আরেকটি প্রধান সমস্যা হল এটার ম্যাক্সিমাম লাইন ভোল্টেজ লিমিট ৬৬ কিলোভোল্ট। অর্থাৎ এর উপরে বিদ্যুৎ পাস করালে বিপজ্জনক পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে। আবার এই লাইনের মধ্যে যদি কোন সমস্যা দেখা যায় তবে তা নির্ণয় করতে অবস্থা প্রায় কেরোসিন হয়ে যায়।
.
সুবিধাঃ
পরিচ্ছন্ন ভাবে সাজানো যায়। অর্থাৎ, রাস্তাঘাটে ক্যাবল ঝুলতে দেখা যায় না।
এসমস্ত দিক বিবেচনা করে বাংলাদেশে আন্ডারগ্রাউন্ড লাইন এর পরিবর্তে ওভার হেড ট্রান্সমিশন লাইন পদ্ধতিকেই বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়।
.
প্রশ্নঃ
অনেকে হবু ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ুয়াদের মনেই হয়ত এতক্ষনে প্রশ্ন এসে গেছে যে- এই ইলেকট্রিক্যাল লাইন গুলোতে ডিসি ব্যবহার না করে এসি ব্যবহার করা হয় কেন?
উত্তরঃ এখানে বলা বাহুল্য যে-
হাই ভোল্টেজ ডিসি এর চেয়ে হাই ভোল্টেজ এসি অনেক সাশ্রয়ী।
হাই ভোল্টেজ ট্রান্সমিশনে ডিসি এর ক্ষেত্রে যে যন্ত্রপাতি গুলো ব্যবহার করা হয় সেগুলো অনেক ব্যয় সাপেক্ষ।
লাইনের কোথাও কোন ফল্ট দেখা দিলে তা বের করতে করতে কিয়ামত ও চলে আসতে পারে।
আর প্রধান যে বিষয়টি সেটি হল ডিসি হাই ভোল্টেজ কে স্টেপ আপ করাটা খুব খুব কষ্ট সাপেক্ষ।
তাই ডিসি এর চেয়ে এসি কে গুরুত্ব দেওয়া হয় বেশি।
লাইক, কমেন্ট দিয়ে একটিভ থাকুন।

ভালো  লাগলে শেয়ার করতে ভুলবেন না।
ধন্যবাদ।
.

No comments:

Post a Comment