Engineering knowledge

Breaking

Friday 16 June 2017

ইলেকট্রিক্যাল পাওয়ার ট্রান্সমিশন ও ডিস্ট্রিবিউশন সিস্টেম পর্ব-১

প্রাথমিক আলোচনা

ইলেকট্রিক্যাল পাওয়ার ট্রান্সমিশন ও ডিস্ট্রিবিউশন সিস্টেম প্রধানত ৩ টি বিষয়ের উপর ভিত্তি করে চলে। সেগুলো হল-
পাওয়ার জেনারেশন বা বিদ্যুৎ উৎপাদন
পাওয়ার ট্রান্সমিশন বা বিদ্যুৎ সঞ্চালন এবং
পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন বা বিদ্যুৎ বিতরণ
অর্থাৎ, প্রথমে পাওয়ার তৈরি করা হচ্ছে; তারপর তা দুর-দূরান্তে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে। অবশেষে কোন একটি ব্যবস্থার সাহায্যে সেগুলো ব্যবহারের উপযোগী করে তোলা হচ্ছে।
.
সম্পূর্ণ প্রকৃয়াঃ
.
আমাদের দেশের কথাতেই আসা যাক। যেখানে পাওয়ার বা বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হচ্ছে সেখান থেকে সচারচর পাওয়া যায় ১১ কিলো ভোল্ট। এটিকে যদি আমরা পুরো দেশে বা দূরে কোথাও পাঠাতে চাই তাহলে মাত্র ১১ কিলোভোল্টে তা পাঠাতে গেলে ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং পড়া ইঞ্জিনিয়ার দের হাতে বস্তা ভর্তি বিদ্যুৎ নিয়ে বসে থাকলেও বিদ্যুৎ পাওয়া যাবে না।
এর জন্য পাঠানোর আগেই সেটা একবার স্টেপ আপ করে নেওয়া হয়। এখানে উল্লেখ্য যে বিশেষ কয়েকটি কারণে এই ১১ কিলোভোল্ট বিদ্যুৎ কে ১৩২ অথবা ২৩০ অথবা ৪০০ কিলোভোল্ট এ স্টেপ আপ করা হয়।
তারপর এটা ট্রান্সমিশন লাইনের মধ্যে দিয়ে পার করা হয় অনেক দূরে। এখন ধরুন একটা জায়গায় ঐ বিদ্যুৎ এর সংযোগ দেবার প্রয়োজন হয়েছে। সুতরাং সেখানে কানেকশন দেওয়ার জন্য সেই লাইন কে আবার ১৩২/২৩০/৪০০ কিলোভোল্ট থেকে স্টেপ ডাউন করে ১১ কিলোভোল্টে নামিয়ে নিয়ে আসা হয়। এবার সেটি যদি কোন বড় মিল, বা ইন্ডাস্ট্রিয়াল প্রতিষ্ঠান হয়ে থাকে তাহলে সেখানে সরাসরি ঐ ১১ কিলোভোল্টের লাইন চলে যায় ব্যবহারের জন্য। তারপর তারা সেটাকে কমিয়ে বা বাড়িয়ে ব্যবহার উপযোগী করে নেয়।
আচ্ছা এবার তাহলে আসা যাক
বাসা-বাড়িতে কি হয়? খুবই সিম্পল ব্যপার। এবার সেই ১১ কিলোভোল্ট কে আবারও স্টেপ ডাউন করে ০.৪৪ কিলোভোল্টে বা ৪৪০ ভোল্টে নিয়ে আশা হয়। আর সেটা বাসা বাড়ি বা ছোট কোন ভোক্তার কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। সেখান থেকে প্রয়োজন মতো ২২০-২৪০ ভোল্টে ট্রান্সফর্ম করে ব্যবহার করা হয়।
নিচের চিত্রটিতে সম্পূর্ণ প্রকৃয়াটিকে সহজভাবে দেখানো হয়েছে-

ইলেকট্রিক্যাল পাওয়ার ট্রান্সমিশন ও ডিস্ট্রিবিউশন সিস্টেমে যে সকল কোম্পানি এসব কাজ সুষ্ঠু ভাবে করে থাকেঃ

শুধু মাত্র একটি কোম্পানি এই এতগুলো কঠিন ও জটিল কাজ একা করতে পারে না। এই পুরো প্রসেস টা ঠিক ভাবে করার জন্য অনেক গুলো কোম্পানির এক হয়ে কাজ করতে হয়। যেমনঃ
বিপিডিবি (BPDB – Bangladesh Power Development Board ):
বাংলাদেশ পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ড । অর্থাৎ যেকোন জায়গা থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের কাজ বাংলাদেশে এক মাত্র এরাই করে থাকেন। অন্য কোন কোম্পানি এটা করতে পারে না।
পিজিসিবি (PGCB – Power Grid Company Bangladsh ): পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি বাংলাদেশ। শুধু মাত্র এনারাই পুরো বাংলাদেশে পাওয়ার ট্রান্সমিশন করে থাকে। তার মানে দেশে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় বিদ্যুৎ সঞ্চালন করাই এদের মূল কাজ।

কমেন্ট, শেয়ার করে একটিভ থাকুন। আগামীকাল পরের পর্ব গুলি  দেওয়া হবে।

No comments:

Post a Comment